পাণ্ডুলিপির কবিতা ১৩তম খণ্ড কবি জীবনানন্দ দাশ এর কাব্যগ্রন্থ যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।
পাণ্ডুলিপির কবিতা ১৩তম খণ্ড । জীবনানন্দ দাশ
- নগরী কবিতা
- সমস্ত শতাব্দী ভরে
- রাত অনেক
- মৃত্যুর ফিরিস্তি
- সেখানে নদীর পারে
- অনেক ঘুরেছি আমি
- পরিপূর্ণ প্রেমিকের মতো
- নদী কবিতা
- পরিপূর্ণ পৃথিবীর ইশারায়
- বালক কালের দিনগুলো
- আমিও তৃপ্তি পেয়ে গেছি
- সময়ের ফাঁকে আমি বহু দিন
- সেই পৃথু’র আমলে
- আমার জীবন যেন
- সর্বদা হৃদয়ে আমি
- প্রকৃষ্ট আনন্দ
- অবসন্ন সময়ের ফাঁকে
- আমাকে দেখেছে ঢের
- পৃথিবীর পথে এসে
- শায়িত ঘাসের ভিড়ে
- পুনরায় এক দিন
- জীবনে আমার এই অনুভূতি
- কখনও জলের ঘ্রাণ
- এ-সব অনন্য কথা
- এক জন বাংলার চাষা
- গফুর কবিতা
- নিষ্ক্রিয় আলোয় আমি
- শিশু কাল থেকে আমি
- আমার দেহের ছায়া
- পাহাড়ের পথে আমি
- জোনাকির কাছে আমি
- মৃণালিনীদের কথা মনে পড়ে
- জোড়া হালদার বলে তাদের চিনেছি
- বুড়ো রাজনাথ
- কৃতি পুরুষের কথা মনে পড়ে
- সততই সন্ধ্যা-রাতে আমি
- এ-সব শীতের দিনে
- সোমনাথ সেন
- অন্ধকার রাতের স্বপ্ন
- অনেক আগের কথা
- তোমার মুখের পরে চোখ রেখে
- আবার হেমন্ত রাত
- পরম ভূতের আবির্ভাব
- ভোরের আলোয়
- কিছুটা প্রকৃত গল্প বলো
- একটি নারীকে আজ মনে পড়ে
- প্রথমে অ্যানা’র কথা মনে পড়ে
- এমন গভীর রাত
- স্থবির গভীর এক মনীষীর কথা
- বিচ্ছিন্ন ভিখিরি
- এক পথ দিয়ে ঢুকে অন্য এক পথে
- মানুষের সমবায় ছেড়ে আমি
- ভিখিরিনী কবিতা
- এ বার তৃতীয় বার চলে যাব
- কোনও এক ভিখিরিকে
- মানুষ চারিয়ে
- পাড়াগাঁর পথে বেঁচে থেকে
- এখন এসেছে ডাক জানি আমি
- কথা বলে এই কাজ
- গোলটেবিলের জীব
- মিটিঙের শেষে
- এখন শব্দব্রহ্ম
- কথার বিস্তার জেনে
- এই নগ্নতাকে
- রমণী ও নীলিমার মুখের প্রতিভা
- এই কথা রেখে যাই
- এখন অনেক কথা সাঙ্গ হলে
- এখন এমন দিন এসেছে
- কোথাও প্রাসাদ এক
- কোথাও অনেক উঁচু স্তূপ
- এখন তা হলে চলো
- এখানে অনেক গাছ
- গভীর নিশীথে আমি
- ঘাসের শরীর ছুঁয়ে
- তা হলে আলোর ডাকে
- হেমন্তের বড়ো হাওয়া
- হেমন্ত বিকেলে আজ
- সর্বদা চোখের কাছে
- জলের ভিতরে মেঘ
- সেখানে তিনটি হাঁস
- তোমার জন্মের সাথে
- তোমার মুখাবয়বে চেয়ে থেকে
- এইখানে পবিত্র এ-পৃথিবীর
- তখন অনেক রাতে
- দিবসের রৌদ্রে ঘুরে
- পৃথিবীর সাধারণ পাথরে
- কথার বাতাস নিয়ে
- এখানে নদীর পাশে
- অঘ্রানের বিকেলবেলায়
- এক শো বছর গেল
- যদি অভিভূত হতে দেই
- এখন তোমার চিত্ত
- এখানে কী কাজ
- তার যে বয়স কত
- প্রথম সে দক্ষিণের দিকে গেল
- চোখ দু’টো ক্রোনোমিটারের মতো
- প্রথম গিয়েছি আমি
- কোনও এক দার্শনিক
- এই এক আধুনিক কথা
- হৃদয় প্রথম দিন
- বিষুবক্রান্তির দিনে
- সময়ের পথে ভ্রমণ
- কোনও এক মহৎ গাধার মতন
- জটিল যাত্রাপথের মানচিত্রে
- ভিড়ের ভিতর সহসা এক জন নারীকে
- এখন আশ্চর্য দিন
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।
মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷
আরও দেখুনঃ