পাণ্ডুলিপির কবিতা ৩য় খণ্ড কবি জীবনানন্দ দাশ এর কাব্যগ্রন্থ যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-র সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।
পাণ্ডুলিপির কবিতা ৩য় খণ্ড । জীবনানন্দ দাশ
- জীবনটা ভারি চমৎকার
- আবার এসেছে দিন
- কবিকে দেখে এলাম
- এখনও জন্মি নি আমরা
- এইখানে চিতা তার
- রেনকোট কাঁধে রেখে
- তুমি আর আসিবে না
- তুমি আর আসিলে না
- কত দিন আগে
- উষ্ণ অভিসার
- কেন তুমি এলে না
- এইখানে প্যাকাটির মতো
- প্রচুর গভীর জ্যোৎস্নায়
- ঘোষদের মণ্ডপে
- যখন খেতের ধান ঝরে গেছে
- কাঁঠালের ডালে ডালে
- মাঠের সবুজ ঘাস
- আমরা যে শুনেছি
- কত বার দেখিয়াছি
- মৃতার মুখের দিকে
- তুমি আজ মরে গেছ
- মৃত যারা
- কেমন যে ছিলে তুমি
- যখন মৃতেরা দূরে চলে যায়
- যাহারা খসিয়া গেছে
- তোমাকে দেখি না আর
- তিন বছরের মেয়ে
- বৃষ্টি বুঝি এল
- দম্পতি কবিতা
- আকাশের চাঁদ
- কাঁঠালগাছের ছায়া পড়িয়াছে
- কত দিন পোড়া জ্বর
- বলেছিলে এক রাতে
- কী যে আমি চাই
- কত দিন থেকে
- শুধু ধ্বনি শুনি
- কার্তিকের কুয়াশায়
- পুকুরের খাড়া পাড়ে
- আমারে বিধাতা তুমি কোল দাও
- এ পৃথিবী রুক্ষ বড়
- সারা-দিন ট্রাম-বাস
- আমি যে সংসারে মন দিতে চাই
- জানি না কোথায় তুমি
- কাদাখোঁচাদের শব্দ
- শূন্য রূঢ় অসুন্দর
- চিন্তা যদি রহিত না
- মেসে কবিতা
- বটের শাখায়
- বসন্ত চলিয়া গেছে
- কয়েকটা খেতে ধান
- ধান পেকে উঠিতেছে
- প্রথম ফসল ঘরে চলে গেছে
- এই সেই কার্তিকের নরম সময়
- আমি তো জানি না, আহা
- চৈত্রের সকাল
- আশ্বিনের শান্ত সকালে
- সিন্ধুশকুন কবিতা
- হে সিন্ধুশকুন
- আমি সব ছেড়ে দিয়ে
- আবার শুনিবে সিন্ধু
- সমস্ত দিনের মাঝে
- পৃথিবীর ইতিহাস
- নদীর কিনার ছেড়ে
- সন্ধ্যার নদীর জল
- পৃথিবীরে ফাঁকি দিয়ে
- অনেক ধানের গুচ্ছ
- যে মাঠে ফসল নাই
- যত দূর চোখ যায়
- অন্য রকম
- এই পৃথিবী বড় ব্যস্ত
- যাযাবর পাখির মতো
- আকাশে পাখার শব্দ
- ঢের গভীর রাত
- মৃত্যুকে চেন না
- হে শঙ্খমালা
- শীত তখন শেষ
- শীতের রাত
- অমলা চৌধুরী
- ফাল্গুনের গোধূলি
- সন্ধ্যার পৃথিবী
- কাল রাতে
- অন্ধকার রাত্রি
- পথে বন্দরে সমুদ্রে
- কিন্তু তবুও তার পর
- সমতল পথের ভিতর
- সন্ধ্যার কুয়াশায়
- গভীর রাতে আকাশে
- শীতের তীক্ষ্ণতা
- মৃত্যু অনেক দূরে
- এই সবুজ মাঠে
- উষ্ণ রক্তের আনন্দ
- এই সব পাতা
- কোথায় এত আবেগের জন্ম
- মৃত্যুর রূপ দেখেছি
- কবিতা রবীন্দ্রনাথ
- সে যেন আসবে
- এই পৃথিবী কখন থামবে
- তবুও সে আসবে না আর
- এই পৃথিবীর খেলা
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷
জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।
মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷
আরও দেখুনঃ