পাণ্ডুলিপির কবিতা ৫ম খণ্ড কবি জীবনানন্দ দাশ এর কাব্যগ্রন্থ যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।
পাণ্ডুলিপির কবিতা ৫ম খণ্ড । জীবনানন্দ দাশ
- বারবনিতা কবিতা
- নক্ষত্রেরা বেলুনের মতো
- কর্কটের মতো এক রোগ
- প্রিন্সিপাল যুবক অধ্যাপককে
- পরফিরিয়ার প্রেমিক
- শিরীষ গাছে পেঁচা
- কল্যাণী বধূ
- অগাধ সমুদ্রঝঙ্কার
- বিমলা বিধবা হল
- পালিয়ে যেতে
- পঁচিশ বছর আগের কথা
- মানব সমাজ
- বুড়ো বললে
- প্রথম দেখা
- যখন তোমার মুখের দিকে তাকাই
- এই প্রথম দেখা নয়
- মানুষের চোখ
- মধ্যরাতের প্রাসাদে
- হে নারী
- সমুদ্রের কিনারে
- হে অনাদি প্রেম
- ধূসর মৃত্তিকা
- হেমন্তের পাতা
- এমনই নিস্তব্ধ আজ তুমি
- ধূসর বিড়ালের ঝগড়া
- বেকার ছোকরারাই
- বেকার মাঝ বয়সি
- যুবকটির কোনও চাকরি নেই
- অন্ধকারের ভিতর চর্বি বাতি
- এত রাতে ফুটপাথগুলো
- পিতৃপুরুষদের আস্বাদের ভিতর
- মহান অন্ধকারের ভিতর
- আকাশের নক্ষত্রেরা
- সেখানে সমুদ্র যেন
- অনেক মক্ষিকা যেন
- শতভিষা নক্ষত্রের মন
- বিস্মৃত নদীর প্রেত
- তুমি কাছে নেই আজ
- হেমন্তের কুয়াশায়
- সমুদ্রের জ্যোৎস্না
- কর্কটের মতো এক রোগ
- অন্ধকার আছে বলে
- মৎস্যগন্ধা কবিতা
- তুলোর বালিশে মাথা রেখে
- পৃথিবীর পথে হেঁটে দেখা গেল
- এই মুখ
- তাহার মুখের দিকে চেয়ে
- দাঁড়কাক কবিতা
- নীরবতা চাই
- মোমবাতি নিভে যাবে
- আমি সেই ঘুমের কিনারে
- শিশুসন্তানটির মৃত্যুর রাতে
- স্তিমিত মৃগের মতো
- মানুষ যে শুয়ে থাকে
- কোনও এক বয়স্কা রূপসির প্রতি
- কুয়াশার মতো এক গোরু
- কথা কবিতা
- মৃত কুকুর
- অনেক গভীর কালো
- নয়ানি নদীর জলে
- মনে হল যেন আমি একা
- দোয়েল কবিতা
- পৃথিবীর কোনও নদী
- কুয়াশার চশমায়
- আমি ভালোবাসি বলে
- গভীর অন্ধকারের ভিতর থেকে
- এখনও পেট নিঃসরিত হয়
- প্রেমিক ইঁদুর
- বসির কবিতা
- আলোর কলকাতা
- বৈশাখ রাতে
- শীতের রাতে
- ফিলজফিক কন্ডাক্টার
- এই যুবক
- আশ্বাস কবিতা
- প্রেমিক কবিতা
- পাপস্বীকার কবিতা
- অন্ধকার রাতে
- পৃথিবীর সব সোনা
- প্রেমিকার রূপে
- তোমারে দেখেছি আমি
- তোমারে নিজের হাতে
- তারা ভাবে
- মৃত নক্ষত্রের দোষে
- নির্জন বালিশে
- প্রেমিক মৃত রাজকন্যাকে
- জলের মতন সাদা রস
- যদিও তোমার বুকে
- এ পৃথিবী ঢের দূর
- ধূসর প্রাসাদ
- প্রাসাদের অন্ধকারে
- তোমারে দেখেছি আমি
- রূপ দেয় নদী এসে
- অন্ধকার রজনীরা
- রয়েছে হলুদ পাতা
- নদীটির স্বাদ পেয়ে
- মনে নেই
- নিষ্পাপ কুমারীর ভালোবাসা
- প্রগাঢ় নীলিমায়
- ফুল পাখি পাতা নিয়ে
- পৃথিবীর নিস্তব্ধতায়
- গভীর জ্যোৎস্না রাতে
- প্রভূত মানুষ
- মৃত্যুর সময়
- মাটির উপর থেকে
- পেঁপে গাছ
- অঘ্রানের জ্যোৎস্না
- অভিভাষণ কবিতা
- রাতের পেঁচা
- নিশীথের নিরন্ন বাতাসে
- মনে হয় যেন জ্যোতি
- যেই বই পাবে না ক দার্শনিক
- অঘ্রান রাতের চাঁদ
- বৈশালীর আকাশের ভোর
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷
জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।
মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷
আরও দেখুনঃ