পাণ্ডুলিপির কবিতা ৯ম খণ্ড কবি জীবনানন্দ দাশ এর কাব্যগ্রন্থ যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।
পাণ্ডুলিপির কবিতা ৯ম খণ্ড । জীবনানন্দ দাশ
- বন্দরের জনসমাগমে
- কোনও স্থবির কবির প্রতি
- হেমন্তের শাল্মলি বন
- শিল্পী কবিতা
- ভারতীয় খেলার সাপুড়ে
- এক বার যে মানুষ
- আমাদের এই ঘর
- মসৃণ দস্তানা
- পিতৃলোকদের উক্তি
- মনের উপরে
- আদি কারণের বীজ
- এখন তোমার হাতে
- যেই সব যুবকেরা
- বিখ্যাত নদীর জলে
- অন্ধকারে তার পর
- অনেক ধারণা ছিল
- যদিও বিগত কাল
- কখনও বিদেশে গিয়ে
- সিংহলের থেকে রোজ
- মনে হয় প্রান্তর
- কোনও আখ্যা দিতে গিয়ে
- তাহাদের সারবত্তা ছিল ঢের
- সূচনার দিনে তারা
- নিষিদ্ধ শহর
- অনেক গম্ভীর মেঘে
- যখন শরৎ আসে
- কেন যে মানুষ
- যদিও সে মনে করে
- সহসা যখন ঝড় উড়ে এল
- গোধূলির জাফরান মেঘের ভিতরে
- আমরা মকর হয়ে
- কালাতিপাত কবিতা
- তবু সেই পৃথিবীতে সূর্য ছিল
- আজ এই পৃথিবীর
- জীবিত ও মৃত
- যখন নগরী আরও অন্ধকার
- ধূসর সময়
- সহসা প্রথম এক দিন
- মেধাবী ভাস্কর
- এখন চৈত্রের হাওয়া
- এখন অঘ্রান ভোর
- মস্তিষ্কে কল্পনাশিখা
- গোধূলির সীমানায়
- জানো না কি তোমরা
- এইখানে শুয়ে আছি
- সন্ধ্যায় ভিখিরি
- সমুদ্রের কাছে
- মনে পড়ে সেই সব
- শিশু কবিতা
- দাঁড়াল মানুষ এক
- উইকএন্ড টিকিটের জোরে
- জানালায় চাঁদ আসে
- এখনও বিধ্বস্ত হয়ে যাই নাই
- ভিখিরিনি কবিতা
- পূর্ণেন্দু কবিতা
- মেয়েটির প্রাণে
- যখন আকাশে চাঁদ
- যুবারা যখন গেল
- তখন আমার দিন ছিল
- চাঁদের প্রতিভূ
- অভিজ্ঞতা বেড়ে যায়
- স্বর্গীয় ঘোড়া
- সাদা জ্যোৎস্নায়
- প্রবালদ্বীপে দুই মুহূর্ত
- জীবনের ঢের দিন কেটে গেছে
- চার্বাকের তুণ্ড ভেঙে ফেলে
- সেই সব প্রাণীদের
- মৃত্যু শুধু
- কয়েকটি দার্শনিক সংঘের অভাব
- জন্তুর হৃদয়ে ঢের ভয়
- বিলোল নৃশংসতা
- অন্তরঙ্গ স্বপ্নের গাম্ভীর্যে
- ধূসর রাতে
- যখন গিয়েছে ডেকে নিসর্গ
- ঢের দূরে
- সেখানে হয়তো সমুদ্র ছিল
- তত দিনে অন্ধকারে
- সমুদ্রের থেকে ঢের দূরে
- বিকলাঙ্গ নদী
- মহান মাতা শোক করে
- জলের বিম্বে নড়ে
- প্লেটোনিক কবিতা
- স্বাধীনতা মিশে গেছে
- অপ্রেমের কবিতা
- সময়ের বীজ
- ধবল মেঘের থেকে
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।
মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷
আরও দেখুনঃ