বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন কবি বুদ্ধদেব বসু তার কবিতা পত্রিকায়। জীবনানন্দ দাশের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন। ১৯৪২ সালে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এটি জীবনানন্দ দাশের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তার আগে ঝরা পালক (১৯২৭) এবং ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬) নামের দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। এই কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৯ টি কবিতা স্থান পেয়েছে।
প্রকাশনা তথ্যাদি:
কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা ১৩৪৯, ইংরেজি ডিসেম্বর ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তার বনলতা সেন নামক তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন। কবিতা-ভবন কর্তৃক প্রকাশিত এক পয়সায় একটি গ্রন্থমালার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে। প্রকাশক ছিলেন জীবনানন্দ দাশ নিজেই। ১৬ পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মোট ১২টি। প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছিলেন শম্ভু সাহা। পরবর্তীকালে জীবনানন্দ দাশ ১৯৪৪ এ প্রকাশিত তার চতুর্থ কাব্য মহাপৃথিবীতে উক্ত বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের সকল কবিতাই অন্তর্ভুক্ত করেন। অতএব, মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থেরও প্রথম কবিতা ছিল “বনলতা সেন”।
কবিতাসূচী:
বনলতা সেন” কবিতাটি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন কবি বুদ্ধদেব বসু তার কবিতা পত্রিকায়। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে প্রকাশিত কবিতার পৌষ, ১৩৪২ সংখ্যার মাধ্যমে বনলতা সেন সর্বপ্রথম পাঠকের হাতে এসে পৌঁছায়। কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা ১৩৪৯, ইংরেজি ডিসেম্বর ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তার বনলতা সেন নামক তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন। কবিতা-ভবন কর্তৃক প্রকাশিত এক পয়সায় একটি গ্রন্থমালার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে। প্রকাশক ছিলেন জীবনানন্দ দাশ নিজেই। ১৬ পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মোট ১২টি। প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছিলেন শম্ভু সাহা। পরবর্তীকালে জীবনানন্দ দাশ ১৯৪৪ এ প্রকাশিত তার চতুর্থ কাব্য মহাপৃথিবীতে উক্ত বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের সকল কবিতাই অন্তর্ভুক্ত করেন। অতএব, মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থেরও প্রথম কবিতা ছিল “বনলতা সেন”।
- বনলতা সেন
- কুড়ি বছর পরে
- হাওয়ার রাত
- আমি যদি হতাম
- ঘাস
- হায় চিল
- বুনো হাঁস
- শঙ্খমালা
- নয় নির্জন হাত
- শিকার
- হরিণেরা
- বেড়াল
- সুদর্শনা
- অন্ধকার
- কমলালেবু
- শ্যামলী
- দুজন
- অবশেষে
- স্বপ্নের ধ্বনিরা
- আমাকে তুমি
- তুমি
- ধান কাটা হয়ে গেছে
- শিরীষের ডালপালা
- হাজার বছর শুধু খেলা করে
- সুরঞ্জনা
- মিতভাষণ
- সবিতা
- সুচেতনা
- অঘ্রাণ প্রান্তরে
- পথহাঁটা
- হাজার বছর তুমি
- ভালোবেসেছিলাম
- হে প্রেম
- তুমি আমি
- আলো নদীর স্বরণে
- মকরসংক্রান্তি প্রাণে
- অন্ধকারে
- অমৃতযোগ
- হৃদয় তুমি
- নদী নক্ষত্র মানুষ
- সে
- তোমাকে
- কার্তিকের ভোরে: ১৩৪০
- তোমাকে আমি দেখেছিলাম
- শান্তি ভালো
- তোমায় আমি
- চিঠি এল
- শবের পাশে
- তোমার আমার
- জল
- এসো
- সুদীর্ঘকাল তারার আলো
- আলোর মতন জ্বলে
- জ্বলন্ত তারার মতো
- নক্ষত্রমঙ্গল
- তোমাকে ভালবেসে
- শিকার (সংলাপ কবিতা)
- এ হৃদয় শুধু এক সুর
- বাহিরের ডাক ছেড়ে
- শুধু এক সত্য আছে পৃথিবীতে
- সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো পৃথিবীর
- যতদিন আলো আছে
- নক্ষত্র, হারায়ে ফেলে
- তুমিও মৃত্যুর মতো
- আকাশের বুক থেকে নক্ষত্রেরে
- দূর পথে জন্ম নিয়ে
- আবার দেখেছি স্বপ্ন কাল রাতে
- অনেক অপেক্ষা করে বসে আছো
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন ৷
আরও দেখুন:
20 thoughts on “বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ – জীবনানন্দ দাশ ( ১৯৪২)”