আশ্বাস কবিতা । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

আশ্বাস কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

আশ্বাস কবিতা

কবিতা: আশ্বাস কবিতা
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

পৃথিবী আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল
অথবা হৃদয় এই সান্ত্বনা দিয়েছে:
এত দিন স্তব্ধ হয়ে আছ তুমি
তার পর কথা জানাবার দিন

আজও তবু কর্মহীন উচ্ছন্ন শিল্পীর
ধুলোভরা অন্ধকার ঘরে
সময় যেতেছে কেটে নেগেটিভ
পরিত্যক্ত প্লেটের ভিতরে

অনেক জীবন্ত নারী পুরুষের
হৃদয়ের সমুদ্রকে কঙ্কালের মতো
কালো ক’রে, ব্যঙ্গ ক’রে
নির্জীব রেখেছি ইতস্তত

আমার হৃদয় এই সূর্যালোকহীন
পরগৃহশায়ী, ঋণী, কাচের প্রদেশ
নিগড়িত শত্ৰু, বন্ধু, রমণীরা সব
আড়ি পেতে অন্ধকারে সময়বিশেষ

রক্তাক্ষরে লিখে যায়; ‘তম্বুরার শব্দে তুমি জেগে ওঠ
তম্বুরার শব্দে তুমি জেগে ওঠ’ বলে
অনন্ত সময় গেছে বৈকুণ্ঠের দিকে
অনন্ত সময় গেছে বৈতরণী তরঙ্গের জলে

মাঝখানে ব’সে আছি একাকী, অস্ফুট
অনেক অদ্ভুত জ্ঞান, ইতিহাস, সমাজের জানুর উপর
ছেনালি-উজ্জ্বল এক গণিকার মতো মূঢ়তায়;-
নীলকণ্ঠ প্রণয়ের মাঝপথে ক্যারেরা-পাথর।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে বাংলাদেশ) অন্তর্গত বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পূর্বপুরুষগণ বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর(বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) পরগণার কুমারভোগ নামক স্থানে “গাওপারা” গ্রামের নিবাসী ছিলেন যা পদ্মায় বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে৷ স্থানটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অবস্থিত৷

তার পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশালে স্থানান্তরিত হন৷সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন; পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন৷ তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মানবহিতৈষী কাজের জন্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন৷

আরও দেখুনঃ 

মরা জ্যোৎস্নায় । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

মরা জ্যোৎস্নায় কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

মরা জ্যোৎস্নায়

কবিতা: মরা জ্যোৎস্নায়
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

এক-আধ বার আমি ভেবে গেছি- অনিচ্ছায়
সমুদ্রের বালি আর আকাশের তারা
আমার বিষয় নয়- যৌবন, স্থবির, শিশু, ভূত
আমার একটি বইয়ে দিয়ে যাবে সাড়া

হৃদয় জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একাকী রয়েছে
মাখন-রেণুর সাথে ঝ’রে গেছে নিশি-প্রজাপতিদের শব।
তুমিও তো, হে সময়, সিংহ আর শশকের মাঝখানে কিছু
কেন তবে রয়েছ নীরব

হয়তো বরাহ আজ অবতার নয়
তবুও পৃথক নয় আজ আর পৃথিবী আকাশ
একাকার হয়ে সব মিশে গেছে সম্রাট, গণিকা, ভাঁড়
শূকর, অধ্যক্ষ, ক্রীতদাস।

আমিই সম্রাট তবে- তবুও শূকর
অধ্যাপক- তবু আমি ভাঁড়
সমুজ্জ্বল সূর্যে জলে- বণিকের করতালি সাথে
তিন ফুটে মেঘকন্যাদের হাহাকার।

তা হলে স্তব্ধতা আর অবসর চাই আমি
কোনও এক প্রাসাদের গম্বুজের কাছে?
যেই শান্তি পরাৎপর নক্ষত্রের ঘূর্ণনে নাই
কোথায় তা আছে?

কেবল একটি বই দেব আমি সকলকে
গোল টেবিলের পাশে নীলাভ ঢাকনি এঁটে দিয়ে
নির্জন বাতির ‘পরে- পৃথিবীর জীবন্মৃত্যু থেকে দূরে স’রে
আপনার বীজ থেকে নিজেকে হারিয়ে?

 

 

কবির উন্মীল দান স্তব্ধতার ভ্রূণে গ’ড়ে ওঠে
বিষণ্ন শান্তির থেকে জন্ম লয় তার অবসর,
সক্রিয়তা;- তবু এক নীরবতা র’য়ে গেছে কলম, চেয়ার, বেঞ্চি, গদি আর বারে
প্রসাদে স্থবির হয়ে মনে করে নিজেকে অমর।

ঢিলে পায়জামা তার লাঙ্গুলকে গোপনীয় ভাবে রাখে ঢেকে
কুক্ষির নিকটে তবু ন’ড়ে যায় ধীরে-ধীরে লাঙ্গুলের প্রেত
সবার রাত্রির নিচে অন্ধকারে নগরীর ঘণ্টা বেজে গেলে নগরীর বিষে
গণিকাও চায় সেই অমরের অকৃত্রিম শব-ব্যবচ্ছেদ।

সচেতন আলো নিয়ে সকলের রক্তের ভিতরে
প্রবেশের স্থির পথ যদিও কম্পাসে কাঁটা নড়ে
যেই নির্জনতা এক রয়ে গেছে নক্ষত্র, নেউল, ক্রীতদাস
বাঁধা ব’লে লাঙ্গুলের মতন নিগড়ে

সেই লোল নীরবতা অনুভব ক’রে নিয়ে কবি
শ্মশানের পারে সাদা গোধূম-খেতের মৌলি পায়
কঙ্কালের ক্বাথ থেকে ফুলের সুগন্ধে জেগে উঠে
পেঁচা আর ইঁদুরের দাঁতে-কাটা মরা জ্যোৎস্নায়।

আরও দেখুনঃ 

হাতের মুঠে অনন্ত সময় । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

হাতের মুঠে অনন্ত সময় কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

হাতের মুঠে অনন্ত সময়

কবিতা: হাতের মুঠে অনন্ত সময়
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

অনেকে অনেক কথা ব’লে গেছে
কেবল নিস্তব্ধ হয়ে শুনে গেছি আমি
খোঁড়লে নীরব জল পান ক’রে ব্যস্ত কুকুরেরা
জন্মকে স্বীকার ক’রে চ’লে গেছে জলের দরের মতো দামি।

আমার শৈশব থেকে যৌবনের সঙ্কল্পগুলোকে
বালির তোড়ার মতো ছেড়ে দিয়ে নিবিড় বাতাসে
কাঁচের প্রাসাদে ব’সে আপামর দিনের বেলায়
আবার নতুনতর অনেক সঙ্কল্প মনে আসে

নিকটে হাতের কাছে র’য়ে গেছে জলের গেলাস
এ-পৃথিবী কাঁচ আর সরিতের জল
অনন্ত আকাশ ঘিরে সূর্য- কাঁচ
অসীম মরুভূ ঘিরে কাঁচের অনল

আমার হৃদয়ে শক্তি জেগে ওঠে এই সব অনুভব ক’রে
সুদীর্ঘ দিনের রশ্মি আমার সহায়
সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ড আছে সর্ষের বীজে
সকল সময় আছে এক লহমায়

 

 

কেবলই বালির ঘড়ি ব’লে যায় সময় হয়েছে ঢের
কাজ করো- প্রেম দাও- করো সঙ্গম
তোমার একটি গ্রন্থি এই বার এঁটে ফেল তুমি
আমার ধবল হাড় ধুয়ে ফেলে প্রতি-নিয়তই সংযম

কাজ করে- কথা বলে- প্রেম দেয়- সঙ্গম করে
একটি উন্মীল গান অগ্নির অক্ষর দিয়ে লিখে
তার পর শূন্যতায় ব’সে থাকে কৃকলাস- দেয়ালের ‘পরে
সমস্ত সুদীর্ঘ দিন অন্ধ হয়ে সূর্যের স্ফটিকে

অনন্ত সময় আমি হারায়েছি অবিরল আলোর ভিতরে
উচ্ছল জলের রোলে- মরীচিকা-কণিকায়- সূর্যের কাঁচে
আমার একটি প্রেম- আমার একটি গান তবুও কোথায়?
কেবল হাতের মুঠে অনন্ত সময় প’ড়ে আছে।

আরও দেখুনঃ 

হৃদয়ের গরিমা । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

হৃদয়ের গরিমা কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

হৃদয়ের গরিমা

কবিতা: হৃদয়ের গরিমা
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

কী নিয়ে বিষয় করা পৃথিবীতে?
মানুষের হৃদয়ের গরিমা কোথায়?
এই সব কথা ভেবে হেমন্তের দিন
এখুনি ফুরাবে কুয়াশায়।

আমার শৈশব দেখে পিতৃব্যের মনে হয়েছিল
এ-মানুষ গেয়ে যাবে কৃকলাস-আগুনের গান
তবুও যৌবন এল ঢেঁকির মতন
অন্ধ গহ্বরের তরে কুটে গেল ধান

ফিতেকাটা পথ ছেড়ে আকাশের নিচে
সমূহ সময় নিয়ে চলেছি মালিক
রাত একটায় দ্বারে হাতল ঘুরাতে
অক্ষি তবুও তার প্রিয় শারীরিক

রূপ ধ’রে নেমে আসে সম্রাটের মুণ্ডে মুদ্রায়
মুণ্ডের দক্ষিণ কানে এ-সব জটিল তর্ক ছেড়ে দিয়ে তবু
চায়ের ভিতরে এক পেয়ালার দেখা পাওয়া গেল
কোনও এক অবিকল ব্রহ্মাণ্ডের মানে

কলমকে তরবার মনে ক’রে নিয়ে
হৃদয়কে রোবো ভেবে- সমাজকে সঙ্গীতের স্কুলে
মনস্বিনী টের পেয়ে- টেবিলের ডিশ’এ নাশপাতি
প্রত্যাগমন করি পুনরায় অরণ্যের নাশপাতি ফুলে।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷

আরও দেখুনঃ 

নিরুত্তর কবিতা । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

নিরুত্তর কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

নিরুত্তর কবিতা

কবিতা: নিরুত্তর কবিতা
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

বাতাসে পাখির মতো প্রকাশিত হয়ে
গম্বুজ কি কোনও দিন কয় কোনও কথা?
তবুও নিশান সেই গম্বুজের ‘পরে
কেবলই প্রকাশ করে নিজ সচ্ছলতা

আমার প্রেমের গান সেই সাদা পাখি
কোলে তুমি অবহিত নিটোল পাথর
হয়তো-বা- অথবা উপমা যদি মুছে ফেলে দেই
উপমাহীনতা তবে আরও নিরুত্তর।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷

আরও দেখুনঃ 

উন্মোচিত কবিতা । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

উন্মোচিত কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

উন্মোচিত কবিতা

কবিতা: উন্মোচিত কবিতা
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

মুহূর্তে নীরব স্বাদ অনুভব ক’রে গেছি আমি
বুকের উপরে হাত রেখে
বাক্সের অন্ধকারে বায়ুহীনতায়
যেমন আঙুর যায় পেকে

এক মুঠো ধুলো নিয়ে গড়েছি মানবশিশু
সেইখানে লক্ষ যুগ হল উন্মোচিত
এক দিন- সারা-দিন- হেমন্তের দিনে;
যখন সূর্যের আলো কিছুটা স্তিমিত।

অনেক অ্যামিবা, কীট, উঁচু সরীসৃপ
এখুনি তো খেলে গেছে কাদার ভিতরে
শেষ মানুষের হাড় এক-ঘুম দিয়ে
আবার ঘুমায়ে আছে কোটি বৎসরে।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷

আরও দেখুনঃ 

সর্বদাই মনে হয় । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

সর্বদাই মনে হয় কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

সর্বদাই মনে হয়

কবিতা: সর্বদাই মনে হয়
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

সর্বদাই মনে হয় সময় রয়েছে
এই বার- সেই বার জীবনমৃত্যুর থেকে উঠে
আমার আসল গান বলা যাবে তবে
আর সব ভস্ম হয়ে গিয়েছে চুরুটে

তবুও সময় আছে- সময় রয়েছে-
সর্বদাই সময় রয়েছে ঢের
করতালি দিয়ে জল- জেগে উঠে আমি
ভেঙে যাব মৃন্ময় পাত্রের

অন্ধকার- অবিচল সূর্যহীনতাকে
দেয়ালে যে-কৃকলাস নড়ে
দেয়ালে যে-আলপনা কেবলই বিবর্ণ হয়
তারা সব বৃত্তের ভিতরে

আমি কোনও পরিমাপ নই তবু
স্বপ্ন আর সেঁকোবিষ নিয়ে
অসীম সময় আমি হারায়ে ফেলেছি
আপনাকে তবু আমি ফেলি নি হারিয়ে

বালির ভিতর দিয়ে উটপাখি চ’লে যায়
আপনার সাম্রাজ্যের দিকে
বেবিলন গ’ড়ে ওঠে, লয় পায় দুই অনুপলে
বালুকাও ফাঁস হয়ে হারায় পাখিকে

নীলাকাশ আপনার অমরতা টের পায়
আকাশের অন্ধকারে ভেসে ওঠে হিম
মনে হয় আমিও তো শেষ হয়ে গেছি
তবুও জীবন্মৃত্যু পুনশ্চ অসীম।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে বাংলাদেশ) অন্তর্গত বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পূর্বপুরুষগণ বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর(বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) পরগণার কুমারভোগ নামক স্থানে “গাওপারা” গ্রামের নিবাসী ছিলেন যা পদ্মায় বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে৷ স্থানটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অবস্থিত৷

তার পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশালে স্থানান্তরিত হন৷সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন; পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন৷ তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মানবহিতৈষী কাজের জন্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন৷

আরও দেখুনঃ 

আমার নিকট থেকে । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

আমার নিকট থেকে কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

আমার নিকট থেকে

কবিতা: আমার নিকট থেকে
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

আমার নিকট থেকে অন্য সব প্রেমিকেরা স’রে গেলে- মৃত হয়ে গেলে-
তখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে- অন্ধকারে- তখনও সক্রিয় র’বে প্রেম
বহুবিধ বিভিন্ন উত্তেজ নিয়ে পৃথিবীর মানুষেরা রক্তপাত করে
প্রতি মানুষেরও আছে আপনার চেতনার পৃথক টোটেম
আমারও হৃদয় ক্রমে স্থবির- স্থবিরতর ভূত হয়ে আসে

পৃথিবীতে বহু দিন বেঁচে থেকে রুধিরের অন্ধ সংস্কারে
মনীষীর হাত থেকে অন্য মনীষীর হাতে গিয়ে ক্রমশই ব্যবহৃত হয়ে
তবুও প্রমূর্ত কথা দু’-চারটা হৃদয়কে যে শেখাতে পারে
নতুন স্কুলের দিনে সেইখানে শরীরের অতি-পুরাতন ব্যবসায়
নিজেকে ক্ষয়িত ক’রে ধীরে-ধীরে হয় তবু আরও কর্মক্ষম
পাখির ছানাকে ঘিরে বৃত্ত এঁকে দিলে সে কি স্তব্ধ হয়ে থাকে?

 

 

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷

আরও দেখুনঃ 

বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি

কবিতা: বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি আমি
গোল এক টেবিলের কাছে
চারি-দিকে মৃত চিন্তা- কালো হাড়
খড়ি প’ড়ে আছে

কিছুটা বিম্বের মতো বস্তু প’ড়ে আছে
কিছুটা সূর্যের মতো জল
দু’-এক মুহূর্ত আজও তাই
মনে হয় পৃথিবী সচ্ছল

আর-এক রকম প্রজ্ঞা নারীদের
মৃতদের আশ্চর্য অলীক
মনে হত; বুকের উপরে হাত রেখে
নিজেকে সংযত দার্শনিক।

সকলকে দ্বারে ডেকে এনে
সূর্যালোকে কথা বলা যেত
আমার কথার বায়ু পেয়ে সব প্রেত
হয়ে গেছে বিন-ফুল নীলিমার খেত-

এ-রকম অবিকল উদযাপিত হয়ে
আপনাকে মনে হত সাধু, সমীচীন
অকৃত্রিম অঙ্কে আজ ধরা প’ড়ে আমি
অপচয়, রক্ত, মৃত্যু, ঋণ।

রাত্রি আছে- ঘুমাবার লোক নাই
সকলেরই মুখ-পরিচিত
স্বজনেরা লিখে যায়- কথা বলে- কাজ করে
মৃৎপাত্র তবুও চিন্তিত

নদীর গর্ভের নিচে- শুষ্কত
ইতিহাসহীন সব কঙ্কালের ভিড়
ধীরে-ধীরে ঘুরে যায় লালসায়
হৃদয়ের লালসা গভীর

লাটিমের মতো ঘুরে পৃথিবীকে দিয়েছি ঘুরায়ে
সব সম্রাটের সব কালো ক্রীত দাসী
করতালি দিয়ে কেঁদে ধোঁয়া হয়ে যায়
একটি পরিধি ঘিরে তবুও চলিতে ভালোবাসি।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে বাংলাদেশ) অন্তর্গত বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পূর্বপুরুষগণ বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর(বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) পরগণার কুমারভোগ নামক স্থানে “গাওপারা” গ্রামের নিবাসী ছিলেন যা পদ্মায় বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে৷ স্থানটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অবস্থিত৷

তার পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে বরিশালে স্থানান্তরিত হন৷সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন; পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন৷ তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মানবহিতৈষী কাজের জন্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন৷

আরও দেখুনঃ 

সময়ের রীলে ঘুরে । জীবনানন্দ দাশ । পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থ,২০০৫

সময়ের রীলে ঘুরে কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশ এর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ১১তম খণ্ডে রচিত। যা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। গৌতম মিত্র ও ভূমেন্দ্র গুহ-এর সাথে যৌথ সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। কবির অগ্রন্থিত কবিতাবলি নিয়ে প্রকাশিত কবিতা সংকলনগুলোর একটি হলো পাণ্ডুলিপি। এই গ্রন্থটি মোট ১৪টি খণ্ডে বিভক্ত রয়েছে।

 

 

সময়ের রীলে ঘুরে

কবিতা: সময়ের রীলে ঘুরে
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
কবি: জীবনানন্দ দাশ
কাব্যগ্রন্থের নাম: পাণ্ডুলিপির কবিতা

 

 

সময়ের রীলে ঘুরে ঢের দিন
আলোকছায়ার ভিড়ে সমাবৃত হয়ে
অনুভব ক’রে গেছি নিওলিথ-যুগ থেকে
এখনও বাতাস যায় বয়ে

কঙ্কালের মতো আঁট সকলের
মাথার ভিতরে শাঁস ঘিরে
অবিরল কৃমিগুলো ক্রমে
স্বাদ পায় নিবিড় পনিরে

কথা বলি- কাজ করি- চিন্তা ক’রে যাই
দ্বার থেকে জীবনের দ্বারে
নতুন জুতার ঘ্রাণ পাওয়া যায়
সকলের সুগঠিত আনকোরা হাড়ে।

 

 

জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক৷ তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম৷ তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে৷ জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।

মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন৷গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন৷

আরও দেখুনঃ 

কবিতা, বাংলা কবিতা, প্রেমের কবিতা, বিখ্যাত কবিতা, জীবনমুখী কবিতা, ভালো বাংলা কবিতা, আবৃত্তির জন্য কবিতা, কষ্টের কবিতা, জীবনবোধের কবিতা

Exit mobile version