কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা | অতুলপ্রসাদ সেন

আজকে আমরা আলোচনা করবো কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা নিয়ে। কবিতাটি লিখেছেন অতুলপ্রসাদ সেন।

অতুলপ্রসাদ সেন

অতুল প্রসাদ প্রবাসী (বর্তমান নিখিল-ভারত) বঙ্গ-সাহিত্য সম্মিলন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি উক্ত সম্মিলনের মুখপত্র উত্তরার একজন সম্পাদক এবং সম্মিলনের কানপুর ও গোরখপুর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন।

 

কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা

 

কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা

 

কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা

 

কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে?
দু দিনের ধনের লাগি ভুলিলে পরম ধনে !

ঘরেতে ধন কর-পুঁজি, সঙ্গে নেবে ভাব বুঝি?
দীনের দুঃখ করো হে মোচন, দীনের অভাব নাই এ দেশে।
দীনের ধনেই ধনী তোমরা— দীনবন্ধু হবেন সুখী।
দীনের দুঃখ করো হে মোচন, পুণ্য হবে ধন-অরজনে।

দুটি ঘরে জ্ঞানের আলো, কোটি ঘরে আঁধার কালো ;

এ আঁধার ঘুচাতে হবে— নইলে এ দেশ এমনি রবে।
দানেই এ জ্ঞান দ্বিগুণ হবে— এরাও তোমার মায়ের ছেলে।
এ আঁধার ঘুচাতে হবে যতনে, অতি যতনে।

পুরানো সে ত্যাগের কথা হৃদয়ে কি দেয় না ব্যথা?
সেই দেশের মানুষ তোমরা—
যেথা রাজার ছেলে হ’ত ফকির, যেথা পরের তরে ঝরত আঁখি ;
যেথা ধন হতে প্রেম ছিল বড়ো, যেথা ধনী ছিল দীনের অধীন।
সেই দেশের মানুষ তোমরা— সে কথা কি আছে মনে?

কেন এলে তবে মানবের ভবে রবে যদি নিজ কাজে?
সবাকার মান হোক তব মান, অপমান পর-লাজে। —
সে দিন কবে বা হবে?
জাতিকুল-অভিমান, দ্বেষ-নিন্দা-ভেদজ্ঞান,
ভারতে আনিল মরণ— ভাই হে।
কবে হবে এ সুমতি, সবার উন্নতি হইবে সবারই সাধন—
হেন সাধন আর নাই হে।

এ-হেন সাধনে জীবনে মরণে পূজিব হে প্রেমসিন্ধু।
মোরা পূজিব তোমায়
সেবার কুসুম কুড়াইয়া, নিজের পূজা ঘুচাইয়া,
পরের দুঃখ ঘুচাইয়া, ভারতের আশা পূরাইয়া।
তব পদে ঠাঁই যেন সবে পাই— দয়া করো দীনবন্ধু।
ওহে দীনবন্ধু, তুমি দীনজনের লও প্রণতি, নমো দীনবন্ধু।

 

কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা

 

আরও দেখুনঃ

1 thought on “কত কাল রবে নিজ যশ-বিভব-অন্বেষণে কবিতা | অতুলপ্রসাদ সেন”

Leave a Comment